বিগত ২৮শে সেপ্টেম্বর সাউথ এশিয়ার এক মহান বিপ্লবী ভগৎ সিং এর ১০৫ তম জন্ম দিবস পালিত হলো। আজকে আমাদের এই পজন্মের জন্য তার ব্রিটিশ তাড়ানো সাম্রাজ্যবাদ বিনাশী সশস্ত্র লড়াই সংগ্রাম এক মহান প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। ভগৎসিংকে ২৩শে মার্চ ১৯৩১ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাম্রাজ্যবাদী বিটিশ রাজ হত্যা করেছিল। তবে আজ ও তিনি অত্র অঞ্চলে শ্রেনী সংগ্রামীদের কাছে একজন মহান বীর হিসাবেই বেচেঁ আছেন। তার মার্কসবাদ চর্চার পদ্ধতী এমন কি জেলখানায় থেকে ও মার্ক্সীয় ক্যাডার তৈরীর প্রচেষ্ঠা এবং নিরন্তর আন্দোলন সংগাম আমাদের জন্য পথের দিশা হয়ে আছে।

মে দিবস হলো এমন একটি দিন যা সকল ধর্ম,বর্ণ, জাতি ও গৌষ্ঠির নিপিড়িত মানুষকে একই সমতলে দাঁড় করিয়ে দেয় । ইহা দুনিয়ার সবর্ত্রই সমভাবে সমাদৃত ও গৃহিত হয়েছে ।

গনমাধ্যম ও নানামূখী তথ্য আদান প্রদনের কারণে বহুলোকের  মাঝে এই শব্দ দুটি  ‘সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজম’ সর্ম্পকে এর প্রতিষ্ঠাতা মহান কার্ল মার্কস এর উদ্দেশ্যের চেয়ে  ভিন্ন ধারণার জন্ম হয়েছে । এই দ্বিধাদ্বন্ধ সহজেই অনুমেয় যে, আধুনিক যুগে ও সেই তথাকতিত সমাজতন্ত্রী দল গুলো রাশিয়ায় ষ্ট্যালিনের একনায়তান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সাথে একাকার করে দেখেন । কিন্তু বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র (ইহাই মার্কসবাদের প্রকৃতশব্দ), এই শব্দটির সুনির্দিষ্ট অর্থ রয়েছে এবং ইহা  সুনির্দিষ্ট সমাজিক কাঠামোর নির্দেশনা দান করে । মার্কসবাদের সূত্রানুসারে উৎপাদন ব্যবস্থায় ব্যাক্তিগত মালিকানার মাধ্যমে পুঁিজবাদি পদ্বতীতে যে শোষন প্রক্রিয়া চলে তা থেকে শ্রেণীহীন সম্যবাদী সমাজে উত্তোরনের অর্ন্তবতীকালিন সময়কে সমাজতান্ত্রিক স্তর বলা হয়ে থাকে । সম্যবাদী সমাজে রাষ্ট্র প্রচলিত অর্থে ব্যবহার হয়না, কার্যক্রমে ভয়ভীতি ও জাতীয় সীমারেখার অস্থিত্ব থাকে না ।