বাংলাদেশদক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। দেশটির উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম সীমানায় ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব সীমানায় মায়ানমার; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। সাবেক “বঙ্গ” বা “বাংলা” নামক ভূখন্ডের পূর্ব অংশ যা পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল সেটি বর্তমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র। সুপ্রাচীন কালে বাংলাদেশে প্রথম মানব বসতি গড়ে উঠে। পর্যায়ক্রমে বৌদ্ধ, হিন্দু ও মুসলিম শাসনের পর বাংলা ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের সময় পাকিস্তানের পূর্ব অংশ (পূর্ব পাকিস্তান) হিসেবে বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্যের কারণে দীর্ঘ আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৭১ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সংবিধান অনুসারে বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতিতে পরিচালিত সরকার প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর দেশ। বর্ষার সময় এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। অসংখ্য নদনদী সমগ্র দেশজুড়ে বয়ে গেছে। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা দেশের প্রধান নদী। নদীবাহিত পলির কারণে সুপ্রাচীনকাল থেকে এখানকার মাটি উর্বর। সড়ক ও রেলপথ ছাড়াও জলপথ যোগাযোগের একটি অন্যতম প্রধান মাধ্যম। ধান, পাট, গম, চা ইত্যাদি এখানকার প্রধান ফসল। বাঙালিরা বাংলাদেশের মূল জনগোষ্ঠী। এছাড়াও চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, গারোসহ অনেক আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে। বাংলা ভাষা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা। দেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলিম। অন্যান্য ধর্মের মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্ট ধর্ম রয়েছে। চট্টগ্রাম ও মংলা বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর। এ দুই বন্দরের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যের অধিকাংশ সম্পন্ন হয়। তৈরী পোষাক বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক ও বিম্সটেক-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এছাড়া দেশটি ওআইসি ও ডি-৮ এরও সদস্য। (বাকি অংশ পড়ুন...)
ভালো নিবন্ধ
তড়িৎ প্রকৌশল, যা প্রায়শ তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল নামে অভিহিত) প্রকৌশল পেশার একটি প্রধান শাখা যা মূলত তড়িৎ, ইলেকট্রনিক্স ও তড়িচ্চুম্বকত্ব নিয়ে কাজ করে। উল্লেখযোগ্য পেশা হিসেবে তড়িৎ প্রকৌশল আত্মপ্রকাশ করে উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে, যখন টেলিগ্রাফি এবং বিদ্যুৎশক্তির ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। বর্তমানে তড়িৎ প্রকৌশলের ব্যাপ্তি বিদ্যুৎশক্তি, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ইলেকট্রনিক্স, টেলিযোগাযোগ সহ আরও কিছু উপশাখা জুড়ে বিস্তৃত।তড়িৎ প্রকৌশল বলতে অনেক সময় তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশলও বোঝানো হয়ে থাকে। তবে যখন শুধু তড়িৎ প্রকৌশল বলা হয় তখন মূলত যে শাখা বড় আকারের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বা যন্ত্রপাতি যেমন বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালন, বৈদ্যুতিক মোটর নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সংক্রান্ত কার্যাবলী সম্পাদন করে তাকে বোঝানো হয়। অন্যদিকে ক্ষুদ্র আকারের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন কম্পিউটার, সমন্বিত বর্তনী ইত্যাদি ইলেকট্রনিক প্রকৌশলের অন্তর্গত। অন্য কথায় তড়িৎ প্রকৌশলীগণ সাধারণত শক্তি সঞ্চালনের জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে কাজে লাগান আর ইলেকট্রনিক প্রকৌশলীগণ তথ্য আদানপ্রদানের কাজে বিদ্যুতশক্তিকে ব্যবহার করেন। মৌলিক তত্ত্বের দিকটি বিবেচনা করলে বলা যায়, তড়িৎ প্রকৌশলে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং ইলেকট্রনিক প্রকৌশলে অর্ধপরিবাহী এবং অন্তরকের মধ্য দিয়ে প্রবাহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। (বাকি অংশ পড়ুন...)