ভাষাবিজ্ঞান বলতে একটি সংশ্রয় হিসেবে ভাষার প্রকৃতি, গঠন, ঔপাদানিক একক ও এর যেকোনো ধরনের পরিবর্তন নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে বোঝায়। যাঁরা এই গবেষণায় রত, তাঁদেরকে বলা হয় ভাষাবিজ্ঞানী।ভাষাবিজ্ঞানীরা নৈর্ব্যক্তিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষাকে বিশ্লেষণ ও বর্ণনা করেন; ভাষার সঠিক ব্যবহারের কঠোর বিধিবিধান প্রণয়নে তাঁরা আগ্রহী নন। তাঁরা বিভিন্ন ভাষার মধ্যে তুলনা করে এদের সাধারণ উপাদানগুলো বের করার চেষ্টা করেন এবং এগুলিকে এমন একটি তাত্ত্বিক কাঠামোয় দাঁড় করাতে চেষ্টা করেন, যে কাঠামো সমস্ত ভাষার বিবরণ দিতে এবং ভাষাতে কোন্ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই, সে ব্যাপারেও ভবিষ্যৎবাণী করতে সক্ষম। ভাষা নিয়ে গবেষণা একটি অতি প্রাচীন শাস্ত্র হলেও কেবল ১৯শ শতকে এসেই এটি বিজ্ঞানভিত্তিক ‘ভাষাবিজ্ঞান’ নামের শাস্ত্রের রূপ নেয়। ভাষাবিজ্ঞানের তাত্ত্বিক দিক ও ব্যবহারিক দিক দুই-ই বিদ্যমান। তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানে ভাষার ধ্বনিসম্ভার (ধ্বনিতত্ত্বওধ্বনিবিজ্ঞান), ব্যাকরণ (বাক্যতত্ত্ব ও রূপমূলতত্ত্ব) এবং শব্দার্থ (অর্থবিজ্ঞান) নিয়ে আলোচনা করা হয়। ব্যবহারিক ভাষাবিজ্ঞানে অনুবাদ, ভাষা শিক্ষণ, বাক-রোগ নির্ণয় ও বাক-চিকিৎসা, ইত্যাদি আলোচিত হয়। এছাড়া ভাষাবিজ্ঞান জ্ঞানের অন্যান্য শাখার সাথে মিলে সমাজভাষাবিজ্ঞান, মনোভাষাবিজ্ঞান, গণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান, ইত্যাদির জন্ম দিয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)
ভালো নিবন্ধ
ব্যা, ব্যা, ব্ল্যাক শীপ ১৭৩১ খ্রিস্টাব্দে রচিত একটি জনপ্রিয় ইংরেজি শিশুতোষ ছড়া। বিগত দুইশত পঞ্চাশ বছরে ছড়াটির কিছু শব্দ পরিবর্তিত হয়েছে। আহ! ভৌ দিরাই-জে, মামাঁ নামক ১৭৬১ সালে রচিত ফরাসী সঙ্গীতের সুরে ছড়াটি গাওয়া হয়। ছড়াটির ব্যাখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন অসমর্থিত তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে। যার মধ্যে মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডে ভেড়ার পশমের উপর কর-আরোপের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং দাসপ্রথা সম্পর্কে বক্তব্য রয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে ছড়াটি রাজনৈতিক শুদ্ধতা সম্পর্কিত বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছিল। সাহিত্যে, জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে রূপকভাবে এবং ইঙ্গিতমূলকভাবে ছড়াটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রাউড ফোক সং ইনডেক্স ছড়াটির কথা এবং রূপান্তরগুলোকে ৪৪৩৯ নম্বরে শ্রেণিভুক্ত করেছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)